শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর): জামালপুরের বকশীগঞ্জে সরকারের জুরুরী সেবা নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন ৮২৫ পরিবার। করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া, অভাবগ্রস্থ পরিবার, দুস্থ, প্রতিবন্ধী পরিবারের খাদ্য সহায়তা দেন উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়াও খুদে বার্তা পাঠিয়ে খাদ্য সহায়তা চাইলে আরো ৫৭৫ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা শুরু হলে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে যারা দিন এনে দিন খায় সেসব পরিবার চরম বিপাকে পড়েন। এসব পরিবারের আয় রোজগার না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করেন। গত এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হলে শ্রমজীবী মানুষ আরো বেকায়দায় পড়ে যান। লকডাউনের কারণে অনেকেই শ্রম বিক্রি করতে না পারায় তারা খাদ্য সংকটে পড়েন। এমতাবস্থায় নিম্ন আয়ের এসব মানুষ চরম উৎকণ্ঠায় দিনানিপাত করেন। অনেকেই পুঁজি ভেঙে সংসার চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি জানালে বকশীগঞ্জ উপজেলার অনেক পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে।
করোনার দ্বিতীয় দফায় কর্মহীন ও রোজগারহীন হয়ে পড়া অনেকেই ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা চান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা প্রত্যেকটি পরিবারের চাহিদা যাচাই করে প্রত্যেকের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৮২৫ টি পরিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন। এদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা। এছাড়াও যেসব পরিবার খাদ্য চেয়ে মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন তাদেরকেও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৫৭৫ জন খুদে বার্তা পাঠিয়ে উপজেলা প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করেছেন। করোনায় খাদ্য সংকটে পড়া এক হাজার ৪০০ পরিবারকে এখন পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এদেরকে প্রক্যেককে ১০ কেজি চাল, ডাল, তৈল, লবন, আলু বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, যারা ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন তাদেরকে যাচাই করে সরকারের দেওয়া খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ৩৩৩ ফোন দেওয়ায় ৮২৫ টি পরিবার ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে ৫৭৫ টি পরিবার খাদ্য নিয়েছেন।